রাঙামাটির সাজেকে গেল চারদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটক আল-আমিন জানান, খাবার পানির সংকটের মধ্যে আছি আমরা। গত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কও নাই। এখানে অকটেনের মাধ্যমে যে জেনারেটর চলবে তার জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। হোটেলেও খাবার নাই। জীবন বাঁচাতে আমরা ঝর্ণার পানি খেয়ে বেঁচে আছি। খুব ভয়াবহ অবস্থাতে আছি। এই মুহূর্তে আমাদের একটাই চাওয়া সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যাওয়া।
সাজেকের কটেজ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ১৮ তারিখ দীঘিনালায় সংঘর্ষ ঘটনার পর থেকেই বাঘাইছড়ি ও সাজেক কোথায় বিদ্যুৎ নাই। যার ফলে ব্যবহারের ও খাবার পানি এবং খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। হোটেলগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার নাই।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, খাবার ও পানি সংকট নিরসনে আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
রাঙামটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, গত ১৮ তারিখ দীঘিনালায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতি হয়। যার ফলে দীঘিনালাসহ বাঘাইড়ি উপজেলা বিদ্যুতের সমস্যার সৃষ্টি হয়। মূলত বৃহস্পতিবার শুক্রবার ও শনিবারের পর্যটক বেশি হয়। এই চিন্তা থেকে ব্যবসায়ী বেশি খাবার মজুত করেনি। খাবার মজুত না থাকায় মাছ মাংস নেই। তবে সবজি আছে। তা দিয়ে আপাতত চলা যাবে। আর জ্বালানির ব্যবস্থা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৫শ’ পর্যটক সেখানে আটকা আছে। অবরোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া নিরাপদ হবে না। এর মধ্যে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো গতকাল ও আজ সব মিলে ৫টি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার ভাড়া করে ২০ থেকে ২৫ জন চলে গেছেন।
এসসি//