প্রকাশ্য দিবালোকে চট্রগ্রামে সরকারি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফর কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়ক ট্রাক চাপা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িকে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ ঘটনায় ওই ট্রাকের চালক মজিবুর রহমান (৪০) ও হেলপার তার ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৮) রাতে আটক করা হয়েছে। পুলিশ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আটক মজিবুর রহমান ও রিফাত মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বাসিন্দা।দুর্ঘটনার পর তারা ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যেতে চাইলে বহরে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে আটক করেন। এরপর তাদেরকে লোহাগাড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে হাসনাত-সারজিস লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সহকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রাকের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িতে চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা ছিলেন।
লোহাগাড়া থানায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন,এ ঘটনায় আটক ট্রাকের চালক ও হেলপারকে পুলিশ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও প্রাইভেট কার থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।’
এর আগে,বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
এসসি//