সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় চার মাসের বকেয়া বেতন দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ চম্পা খাতুন মারা গেছেন।
রবিবার(২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতালে মারা যান তিনি।
গুলিবিদ্ধ চম্পা খাতুনের ভাইয়ের শম্পা জানান, আমার বোন জেনারেশন নেক্স ট ফ্যাশন লিমিটেডে সেলাই মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করে। গত চার মাস ধরে তাদের বেতন দেয় না এই নিয়ে তারা আজকে সকালে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ গুলি করে।এ সময় আমার বোনের পেটে ও বাম হাতে গুলি লাগে। পরে প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। গত ২৩ অক্টোবর সকালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। আজ সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বোন ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, কাজ করছে বেতন দেয় নাই বেতন চাওয়া কি আমাদের অপরাধ এভাবে তারা আমার বোনকে গুলি করে হত্যা করলো।আমাদের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো ফারুক বলেন,গত ২৩ অক্টোবর আশুলিয়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই নারী পোশাক শ্রমিককে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর চিকিৎসা চম্পা খাতুন ও মোরশেদা বেগমকে ভর্তি দেন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এসসি//