সময়ের চাকা
ঢাকাWednesday , 16 October 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. কৃষি
  8. ক‍্যাম্পাস
  9. খেলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. বিনোদন
  14. রাজধানী
  15. রাজনীতি

কবর থেকে বিএনপি নেতা হারিছের মরদেহ উত্তোলন,করা হবে ডিএনএ টেষ্ট

Link Copied!

ঢাকা জেলার সাভারে কবরস্থান থেকে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করছে পুলিশ। তার মরদেহ ডিএনএ টেস্ট করা হবে। পরবর্তীতে তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ সিলেটে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এ কার্যক্রমে উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মেদ মুঈদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। ছয় জন শ্রমিক উত্তোলনে কাজ করছেন। উপস্থিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

তিন বছর আগে যখন হারিছ চৌধুরীকে এ কবরস্থানে দাফন করা হয়, সেই সময় তাকে মাহমুদুর রহমান হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল পরিবার। কবরটি তাৎক্ষণিক কিনে নেয় তার স্বজনরা। তার জানাযায় অংশ নিয়েছিল স্থানীয় অনেকেই।

হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ২০২১ সালের ওই দিন বাদ আছর আমি ওই নামাজের জানাযায় ইমামতি করি। এতে অনেকেই উপস্থিত অংশ নেয়। দাফনের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন করোনার পরিবেশ ছিল। জানাযার নামাজেও মানুষ সাহস পেত না। তার শ্যালক যোগাযোগ করে মরদেহ নিয়ে আসে। আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি। এখন পর্যন্ত আমরা তাকে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবেই জানি।

বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সামাদ মোল্লা বলেন, এখানে অনেকেই কবরের জন্য জমি কেনে। এটা অন্যের নামে বরাদ্দ ছিল। মাহমুদুর রহমানের আত্মীয়রা বললো, কবরের জায়গা লাগবে। তখন আরেকজনের বরাদ্দ করা কবরের জমি বিক্রি করা হয়। তখন এলাকার বা মাদরাসার কেউ জানতো না এটিই হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। আমরা জানতাম তার নাম মাহমুদুর রহমান।

২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী তখন জানান, তার বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।

হারিছ চৌধুরী বিএনপির সবশেষ শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন।

এসসি//