বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় গুলিতে নিহত হন মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তার মৃত্যুর ৫২ দিন পর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে।
সম্প্রতি নিহতের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা থেকে পুলিশি তদন্তের জন্যে কাগজ গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরাতেই থাকতেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি।
নিহত মাওলানা মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায় যে আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা হয়েছে। শুনে আমি হতভম্ব হয়েছি। মৃত ব্যক্তির নামে এত দিন পরে মামলা কিভাবে সম্ভব।
তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় মাওলানা মামুনুল হক এবং ছাত্র সমন্বয়দের সাথে কয়েকবার কথা বলেছি। উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি কঠিনভাবে দেখবেন।
স্থানীয় পাকশিমুল ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে সরাইল থানা থেকে পুলিশ কল দিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কারণ জানতে চাইলে জানালেন মাহমুদুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকায় নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ গ্রামে দাফন করেছি। এখন সে নাকি মামলার আসামি। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জানালেন তার মৃত্যু সনদ দিতে। আমি বিষয়টি তার চাচাকে জানিয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে জানতে চেয়ে একটি অনুসন্ধান শ্লিপ এসেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যেহেতু মৃত সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবেদন সেখানে পাঠিয়ে দিব।
এসসি//