রাজধানীর কদমতলী থানার বরইতলা রেললাইন এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই ধর্ষক আব্দুল্লাহকে(২৫) আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার(৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।পরের দিন ভোর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি)ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, আমি একটি পলিথিন কারখানায় কাজ করি। আমার বাসা কদমতলীর বরইতলা রেল লাইনের পাশে। আমার একমাত্র মেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে রেললাইনের পাশের খেলাধুলা করছিল কিন্তু তার নানি আমাকে জানায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।পরে আমি তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাচ্ছিলাম না। পরে আশেপাশের তিনটি মসজিদে মাইকিং করি মাইকিং করার পর দশ মিনিট পরে আমার মেয়েকে ওই রেললাইনেই আবার পাই। সে সময় তার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল সে হেটে আসতে পারছিল না পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জানতে চাইলে সে একজন দাড়িওয়ালা ব্যক্তির কথা জানায় এবং যেই বাসায় নিয়ে ঘটনাটি ঘটে ওই বাসায় আমাদের নিয়ে যায়। পরে আমরা ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং পরে রাতে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। ঐদিন রাতে আমি বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করি এবং শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি।
তিনি আরো বলেন, পরে আমরা ঐ লোকের পরিচয় এবং তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে আজ সোমবার বিকালে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ তাকে পাশে একটি বাজারে ওই সিসিটিভি ফুটেজের ছবি দেখে চিনতে পারে। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন আটক করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার যায় এবং পরে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে তাকে সোপর্দ পুলিশ সোপর্দ করে। পরে তাকে আটক করে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে পুলিশ। বর্তমানে এসে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসাধীন আছেন। আমার একমাত্র মেয়েকে যে এই খারাপ কাজ করেছে তার উপযুক্ত সাজা ফাঁসি চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই )অশোক সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার কদমতলী এলাকায় সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির মা শুক্রবার বাদী হয়ে কদমতলী থানা একটি মামলা(মামলা নং-৮) আদায় করেন। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসি তে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষককে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে পরে আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।বর্তমানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা চলছে।
এসসি//