ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ ও মুগ্ধসহ যারা শহীদ হয়েছেন ২০০ বছর পরও জাতি তাদের স্মরণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কারাবরণ ও জুলুম নির্যাতনের শিকার হওয়া মাহমুদুর রহমান দীর্ঘ বিদেশজীবন শেষে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারতের দালাল শেখ হাসিনাকে যারা উৎখাত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শহীদদের আমরা কখনো ভুলব না। আজ থেকে ২০০ বছর পরও আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের তিতুমীরের মতো স্মরণ করবে মানুষ।আবারও লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে এবং একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে দিয়ে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। আমার বয়স হয়ে গেছে। তবে জেল খাটার মতো মানসিক শক্তি আমার এখনও আছে।
জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর আরও বড় পরিসরে সবাইকে নিয়ে লড়াই করব।পরাজিত ফ্যাসিবাদ বিদেশে বসে বিদেশি বন্ধুদের দিয়ে বিপ্লবকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান।এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক।মাহমুদুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দিতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল মানুষের ভিড় করেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা তাকে সংবর্ধনা দেন।ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ করাসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া হয় বিভিন্ন মামলা রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন।পরবর্তীতে এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপরই তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে তৎকালীন সরকার।
এসসি//