ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আপনারা না পারলে দায়িত্ব আমাদেরকে দেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের চিকিৎসা এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।
যারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থান ঘটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলো তাদের চিকিৎসা আর আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের এতো দীর্ঘসূত্রিতা কেনো প্রশ্ন রেখে সারজিস আলম বলেন, আপনারা না পারলে আমাদেরকে দায়িত্ব দেন।’এখন পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে কয়েক হাজার মন্তব্য করেছেন পাঠকরা।,
তার স্ট্যাটাসে নূর মোহাম্মদ মির্জা নামে একজন কমেন্ট করেন তিনি লেখেন,দুঃখজনক বিষয় এখনো তাদের চিকিৎসা চলছে
ভালো হসপিটালে উন্নত মানের চিকিৎসা দিলে আরো আগে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে জান্নাতবাসী করুক।
সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্টে মালা নামে একজন লিখেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাধারণ মানুষ যতটুকু আশা করছিলো তার ১০% ও পূরণ করতে পারে নাই।
তার কমেন্ট বক্সে মোঃ আব্দুল্লাহ আজ জাবাজারে গেলে আর কিছু দিনের মধ্যেই শুনা লাগবে মানুষ বলছে ‘হাসিনাই ভালো ছিলো…! ‘
এই জীবনে এর চাইতে অপমানের এবং দুঃখের আসলে কিছুই থাকবে না।
ফেসবুক কমেন্টে আফিম সারোয়ার নামে একজন লিখেন,আজকে শেখ হাসিনা পতনের দ্বিতীয় মাস কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের খুনি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটা চিরুনি অভিযান তারা করতে পারল না।
আমরা যে আওয়ামী লীগের বিপুল অ*স্ত্রশস্ত্র দেখলাম সে অস্ত্রগুলোও তারা জব্দ করতে পারেনি। এই সরকার সময় ক্ষেপণ করে আওয়ামী লীগের নেতাদের দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাট, নিখিল, কমিশনার আসিফ, রাজিব, ইলিয়াস মোল্লাহ্ এরা এখনো কারাগারের বাইরে কেন? হয়তোবা এরা এতদিনে দেশ ছেরে চলে গেছে।
এটাই এই ইউনুস সরকারের প্রথম কাজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছেড়ে দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগের নামটাকে অথবা মার্কাটাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে চায়। এর পিছনে আসল কারণ হচ্ছে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে ভোটের রাজনীতিতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় আর কিছু না।
বাংলাদেশে যে কোন আসনে ধানের শীষ আর নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন উপদেষ্টাই কোনদিনও নির্বাচিত হতে পারবে না। এটাই হলো বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতির আসল রূপ। এখন যদি বড় দুই দলের থেকে যেকোনো একটি বাদ পড়ে তাহলে তো নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাটাও বেড়ে যায়।
গণহত্যা*র দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা গেলে জামাতকে কেন করা হবে না?ফিম সারোয়ার নামে আরও একজন তার কমেন্ট বক্সে লিখেন
এসসি//