রাজধানীর হাজারীবাগ বটতলা মাজারের একটি বাসায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে সোমা দে (২৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সোমা দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে প্রাণ কোম্পানিতে অফিসার পদে চাকরি করতেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মামা অনন্ত কুমার জানান, আজ সন্ধ্যার পর অফিস থেকে বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে ছিল সোমা। অনেক ডাকাডাকি করে তার কোন সাড়া না পেয়ে তার মামি সহ আমি ঘরে গিয়ে দেখি সোমার মুখ দিয়ে লালা বেরোচ্ছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে শুধু এতোটুকুই বলেছিল আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা তাই আমি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম।
এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার ভাগ্নি আর বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনের একমাত্র মেয়ে ছিল সোমা দে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে বাড্ডায় প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতো। তার বাবার নাম গোপাল দে।বরিশালে তাদের দেশের বাড়ি হলেও নদীতে ভেঙে যাওয়ায় ঢাকার হাজারীবাগের বাসায় ভাড়া থাকত তারা। সোমা দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যাথা রোগে আক্রান্ত ছিল। এ নিয়ে আমরা তাকে কয়েকবার ডাক্তারও দেখিয়েছি। দু’একদিন পর তার মামির সাথে পুনরায় ডাক্তারের কাছে যাবার কথা ছিল।তার এই মাথা ব্যাথার কারণে পরিবারের কারো সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতো না সে। ঠিকমতো খাবার খেত না।অফিস থেকে বাসায় ফিরে ঘরে চুপচাপ বসে থাকতো। অনেকটা একাকী প্রকৃতির ছিল সোমা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সোমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।