অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাদের এই কর্মসূচির প্রতিহত করতে গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে গণ জমায়েত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেই গণজমায়েতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ‘হ’ দিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কবিতাটি আবৃত্তি করেন তিনি।পাঠকদের জন্য কবিতাটি তুলে ধরা হলঃ-
কবিতার নাম – হ যুগ
সে এক যুগ ছিলো ভাই।
স্বর্ণ যুগ যাকে বলে।
প্রত্যেক যুগের আলাদা আলাদা নাম থাকে।
সেই যুগের নাম ছিলো – হ যুগ।
সব কিছুতেই হ।
উপ্রে, নিচে, ডাইনে বায়ে, যেখানে তাকাবেন- হ, হ আর হ।
নেত্রীর নাম হ দিয়ে ছিলো তো বটেই।
বাহিনীরও নাম ছিলো- হেলমেট বাহিনী।
তাদের হাতে হাতুড়ি।
হাতুড়ি না থাকলে হকিস্টিক।
হ এর বাইরে এরা যায় নাই।
হ ভাই, আসলেই যায় নাই।
এমনকি সেই হ যুগে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হোটেলের নামও হ দিয়ে।
হারুনের ভাতের হোটেল।
এই হোটেলে যারা খেতো , তারা তো খেতোই।
হোটেলে খাওয়ার সুযোগ না পাওয়া পাবলিকরা যা খেতো- তার সবচেয়ে পরিশীলিত নাম
হতে পারে- ‘হ মারা খাওয়া।’
হ যুগে পত্রপত্রিকা, টিভি ফিভি বলে কিছু ছিলো না।
যা ছিলো তার নামও হ দিয়ে। হলুদ সাংবাদিকতা।
এর বাইরে হিংসা, হানাহানি, হুমকি, হুংকার, হত্যা -এসব ছোটখাটো হ এর দাপট তো ছিলোই।
১৫ বছর পর হ যুগের সমাপ্তি ঘটলো।
হ পালিয়ে গেলেন। যে বাহনে করে পালালেন, তার নামও হ দিয়ে । হেলিকপ্টার।
হ দিয়ে শুরু, হ দিয়ে শেষ। আমি ভাবলাম, যাক হ যুগের অবসান হলো তাহলে।
হায়, কিন্তু কীসের কি।
এখন আবার নতুন করে হ এর হাহাকার শুরু হয়েছে।চারিদিকে হ এর হাউকাউ।
নতুন হ যুগ শুরু হয়েছে এভাবে- হ্যালো আপা, হ্যালো, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো হ্যালো।
হ্যালো আপা, জ্বী বলেন, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো …
কবিতাটি লিখেছেন- আশীফ এন্তাজ রবি।
এসসি//