দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।তিনি মার্কিন মসনদে বসতে যাওয়ায় তার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র কেবল মিত্র নয়। এ দুইয়ের মধ্যে অংশীদারত্ব রয়েছে। এর ফলে ৮০ কোটি নাগরিক ঐক্যবদ্ধ করেছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা ট্রান্সআটলান্টিক অংশীদারত্বে কাজ করি। নাগরিকদের সুফল বয়ে আনতে এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। আটলান্টিকের দুই পাড়েই লক্ষাধিক কর্মসংস্থান ও বিপুল বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে।
এর আগে এক ডজনেরও বেশি ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলার পর শনিবার (০২ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য ইইউ নিজেকে প্রস্তুত করছে।
এসব শীর্ষ ব্যক্তিরা ইংগিত দিয়েছেন যে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যিনিই নির্বাচিত হন না কেন দেশটির ওপর তারা নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে। নীতিনির্ধারকরা বলেন, ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়ের ব্যাপারে তারা আস্থাশীল। রিপাবলিকানরা আশাবাদী যে তারা ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করবেন। এজন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন আকস্মিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে জোটটি।
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইকেল স্টেম্পফ্লে বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার : আমরা এখানে খরগোশের মতো বসে নেই। মার্কিন নির্বাচনে যে জিতুক না কেন, ভবিষ্যতে মার্কিন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ক্রমেই ইন্দো-প্যাসিফিকের দিকে থাকবে। ইউরোপীয়দের তাদের নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি কিছু করতে হবে।
এসসি//