কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রামপুরা ডিআইটি এলাকায় গুলিতে নিহত ভ্যান চালক মোঃসাগরের (২৩) লাশ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।দাফনের ৭৫ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(৩ অক্টোবর) খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের ৬ নাম্বার লেন থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
নিহত সাগরের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ভরা গ্রামে।সে ওই এলাকার মোঃ সাত্তার মিয়ার ছেলে ছিল। সে রামপুরা থানার মৌলভির টেকের বকুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন( পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ এর পুলিশ পরিদর্শক মো বাদশা আলম সুরতাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ জুলাই রামপুরা থানার ডিআইটি রোডের ব্যাটার লাইভ হাসপাতালে সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ভ্যানচালক সাগর। পরদিন ২০ জুলাই খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা(মামলা নং-৬৯) দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত সাগরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে গলিত অবস্থায় তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
সুরতহাল তার প্রতিবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন,ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ রাখতে হবে।
এসসি//