সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সমন্বয়ক রাসেল। এর আগে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের যমুনায় প্রবেশ করেন পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সমন্বয়ক রাসেল বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘ জার্নি করে এসেছেন। এজন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে আমাদের। আলোচনার সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিটির প্রধান সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে আমাদের কথা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে আমাদের টিম আলোচনা করবে।এই দিন মূলত দাবি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা হবে।
দাবি বাস্তবায়ন আলোচনার প্রতিবেদন ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন সমন্বয়ক রাসেল।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, এখনই আমাদের আন্দোলন স্থগিত নয়। এখান থেকে আমরা সরে এখন শাহবাগে যাবো সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেব পরবর্তী আন্দোলন কী হবে।
আরেক প্রতিনিধি আবু সাঈদ সাদ বলেন, আমরা আন্দোলন এখনই শেষ করছি না। তবে, এখন আমরা যমুনার সামনে থেকে চলে যাব। শাহবাগের জাদুঘরের সামনে প্রজন্ম চত্বরে আমরা অবস্থান করব।
তার আগে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি জানান তারা। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
এসসি//