গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গাজায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা এটি এখন পর্যন্ত।
সোমবার (১২ নভেম্বর) আরব লিগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনের আগে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, সৌদি আরব তা তীব্রভাবে নিন্দা জানায় এবং এ হামলাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করে সৌদি যুবরাজ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলকে ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে বাধ্য করা। তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক উন্নতির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি ইসরায়েলকে ইরানে হামলা না চালাতে সাবধান করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
এদিকে ইসরায়েলকে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার দায়ে অভিযুক্ত করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারা ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে, হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় একটি সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত চলমান এই অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় বিগত ছয় মাসের সময়কালে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
গাজায় অবস্থানরত জাতিসংঘের কর্মী এবং ত্রাণ সহায়তার ওপর ইসরায়েলের অনবরত আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি সহ ইসলামি বিশ্ব নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসসি//