মার্কিন গোয়েন্দারা অভিযোগ করে বলেছে, জনগণের আস্থা নষ্ট করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিপক্ষ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় ওডিএনআই এবং সাইবার ও অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী। ভোট কারচুপির মিথ্যা দাবি তুলে সেসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরুর ঠিক আগে এমন অভিযোগ তুলল দেশটির অভ্যন্তরীণ এই তিন গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সাথে মঙ্গলবার সকালে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় তার ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন।
আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ভার্মন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১২টায়) ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। তবে বেশির ভাগ রাজ্যে ডাকযোগে এবং আগাম ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় ইতোমধ্যেই ৮ কোটির বেশি মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভোটের মহারণ শুরু হলেও সবার অপেক্ষা কার হাতে উঠছে হোয়াইট হাউসের চাবি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র কি তার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে, নাকি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পদ্ধতি বেশ জটিল। পপুলার ভোটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি মিলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রয়োজন। একেক রাজ্যে একেক সংখ্যায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে। যে রাজ্যে যে দল জয়ী হয়, সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সেই দল পেয়ে যায়। অর্থাৎ উইনার্স গেট অল।
এবারের নির্বাচনে সাতটি সুইং স্টেটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এসব সুইং স্টেটের মধ্যে উইসকনসিনে ১০টি, পেনসেলভিনিয়ায় ১৯টি, আরিজোনায় ১১টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, মিশিগানে ১৫টি, নেভাদায় ৬টি এবং নর্থ ক্যারেলিনায় ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির জন্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তিনটি।
এসসি//