যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
অপর দিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে তাদের বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড জানিয়েছে, ‘আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের আশু বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই।’
কয়েক দিন আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন দেশের নতুন আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেন। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। এর জবাবে গত রোববার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে বিমান মহড়ায় যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মার্কিন বি-ওয়ানবি বোমারু বিমান অংশ নেয়।
এদিকে কিমের বোন কিম ইয়ো জং অভিযোগ করেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীরা আগ্রাসী সামরিক মনোভাব দেখাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ২০২২ থেকে পিয়ংইয়ং সমানে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ আকর্ষণ করা।
সোমবার ক্রেমলিনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের হিসাবে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এসসি//