ইসরায়েলের নাগরিক হয়েও ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেট ও পুলিশের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এ তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলছেন, সম্প্রতি ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির বহু অভিযোগ আসছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আটক হচ্ছেন অনেকে। যুদ্ধবাজ কোনো দেশের জন্য বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ইরানি এসব গুপ্তচর ইসরায়েলের নাগরিক। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া দুজন রাফায়েল ও লালা গুলিয়েভও ইসরায়েলি।
তারা উভয়ই ৩২ বছর বয়সী। এদের একজন হত্যাকারী খোঁজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় অবকাঠামোর তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তারা। সে সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা থিংক ট্যাংকখ্যাত এক একাডেমিকের অনুসরণ করছিলেন অভিযুক্তরা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বিশেষজ্ঞের ক্ষতি করার জন্যই এমনটি করা হচ্ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দম্পতি জানিয়েছেন, আজারবাইজানীয় বংশোদ্ভূত একজন ইসরায়েলি তাদের নিয়োগ করেছেন। ইরানের পক্ষে কাজ করতে ইসরায়েলিদের নিয়োগের একটি বিশেষ দল এর সঙ্গে জড়িত। তারা মূলত অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এ ধরনের কাজে যুক্ত করার চেষ্টারত।
ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, ওই দম্পতি একাধিক মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এর পেছনের কুশিলবদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
এদিকে কোন প্রলোভনে তারা এ বিপজ্জনক কাজে যোগ দিয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে শিনবেট। বলেছে, ইরানের ভয়ংকর গুপ্তচরবৃত্তির এটি একটি উদাহরণ। এটি প্রমাণ করে, ইরান ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত এবং সন্ত্রাসবাদী কাজ চালাতে ইসরায়েলিদের বিপথগামী করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর বিভিন্ন সময় ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অনেক ইসরায়েলি আটক হয়েছে। সম্প্রতি এ অভিযোগে সাত ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্দেহভাজন এ গুপ্তচররা ইরানের হয়ে ৬০০টিরও বেশি অভিযানে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশ। এসব অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সংবেদনশীল সামরিক তথ্য ফাঁস করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে চিহ্নিত করা।
এসসি//