ইসরায়েলের সব ধরনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায়, তাহলে সেসব লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা বানাবে তেহরান। রোববার ইরানের শীর্ষ এক কূটনীতিক এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তেহরান বলেছে, ইসরায়েলের সমস্ত সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করেছে তেহরান। ইরানের ওপর ইসরায়েল হামলা চালালে ইসরায়েলি সামরিক সব স্থাপনাকে নিশানা বানিয়ে হামলা করবে তেহরান।
তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘‘ইরানের বিরুদ্ধে কোনও হামলা হলে আমরা তার জবাব দেব। ইসরায়েল আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া পাবে। আমরা সেখানে আমাদের সব লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছি এবং তাদের লক্ষ্যবস্তুতে একই ধরনের হামলা চালানো হবে।’’
তবে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। দেশটির এই মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ইরানে যেকোনও ধরনের হামলা চালানো হলে, তা আমাদের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করবে বলে বিবেচনা করা হবে। এ ধরনের হামলার জবাব দেওয়া হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বা অনুরূপ হামলার প্রয়োজনীয় জবাব দেওয়া হবে।’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘‘জায়নবাদীদের মিত্র’’ বলে অভিহিত করেছেন আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে যে কোনও ধরনের বড় যুদ্ধ শুরু হলে ‘‘আমেরিকাকে এতে টেনে আনা হবে।’’
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া গাজা এবং লেবাননে অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। ইসরায়েলকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইসরায়েল কখন এবং কীভাবে ইরানের ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে সে সম্পর্কে তার ভাল ধারণা রয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তারা আমাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলেছে, যাতে আমরা ইরানকে গড়ে তুলতে না পারি। কিন্তু আমরা দেশকে গড়ে তুলবো। তারা চায় আমাদের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হোক।’’
সূত্র: আল জাজিরা, আনাদোলু।
এসসি//