রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগে মাহিবুল ইসলাম মাহি (২৩) নামে এক মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী গলায় ফাস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে।মাহি শাহবাগ ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ(বারডেম) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাহি কুমিল্লার জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার নুনাবতি গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিজানুর রশিদের ছেলে ছিল। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সেছিল সবার বড়। যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকত তারা।
মাহির মা ফাতেমা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল মাহি ডাক্তার হবে। ওর বাবা সৌদি থেকে কাজ কাম করে অনেক কষ্ট করে টাকা পয়সা পাঠায়। ছেলে চিকিৎসক হলে আমাদের আর দুঃখ থাকবে না। আমার ছেলের তো ডাক্তারি পড়া হইল না । কিন্তু কি হইতে কি হইয়া গেল, বাবারে আমি তো কিছুই জানতে পারলাম না। মাহি বারডেমের হোস্টেলে থেকেই লেখাপড়া করত। আর মাঝে মাঝে বাসায় এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করতো”।
তিনি আরও জানান,গতরাতে ও বাসায় এসেছিল। আমাদের কাউকে কিছু না বলে নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে মাহি। অনেক সময় পেরিয়ে গেলে তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙে দেখি বারান্দার কাপড় শুকানোর রশি গলায় পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে আমার মাহি। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায় আমার মাহি আর বেঁচে নেই।
তিনি বলেন, আমি এখন ওর বাবারে কি জবাব দিমু। কেনই বা মাহি এই কাজটি করল আমরা কিছুই জানিনা। আমাদের কারো সাথে তো ওর কোন ঝগড়াও হয়নি,”মাহিরে তুই কি করলি, কই চইলা গেলি রে বাবা”।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মাহির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছিলাম।
এসসি//