রাঙামাটিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ও তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছে ৮ শতাধিক পর্যটক।
এর আগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
জানা যায়, অবরোধের কারণে গতকাল খাগড়াছড়ি থেকে যারা সাজেক গিয়েছিলেন তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েছে। পরিস্থিতি ভালো হলে তাদের ফিরিয়ে আনার কথা জানান সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ।
খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির লাইন ম্যান মো. ইয়াছিন আরাফত জানান, গতকাল সকাল ও দুপুর মিলে ১১৫টি জিপ গাড়ি ও ৫০ থেকে ৫৫ টির মতো সিএনজি সাজেকে প্রবেশ করে। সেসব গাড়িগুলো আটকা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইউপিডিএফ’র অবরোধের কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা।বেইলি সেতুগুলো থেকে পাটাতন খুলে নেয়া হয়েছে।এ অবস্থায় পর্যটক গাড়ি চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সমিতির পক্ষ থেকে কোনো গাড়ি সাজেক থেকে আজ ফিরেনি।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় কোনো গাড়ি আজ ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পিটুনিতে মো. মামুন নামের এক যুবক প্রাণ হারান। মূলত খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে।
এসসি//