রাজধানীর মুগদা কাজিবাড়ি মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আশিক এলাহী শাকিল (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং নিহতের দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন (৩৮) ও মোঃ শামস্ (২৪)’কে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দয়েরকৃত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মো রহিম হোসেন (২২)ও তার অন্যতম সহযোগী সীমান্ত হোসেন রাহাতকে(২১) মুগদা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)-৩।
গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১২টার দিকে আশিক এলাহী শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে মুগদা এলাকা থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের অন্যতম আসামিসহ দুইজনকে আটক করে র্যাব-৩ এর একটি চৌকস দল।
র্যাব-৩ এর মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম(সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার)এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে আমরা জানতে পারি, গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর রাত দশটার দিকে মুগদার উত্তর মান্ডার প্রধান সড়কের পাশে মেঘু ব্যাপারী জামে মসজিদের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনকৃত একটি গাড়ী পার্কিং করে রাখা হয়।সে সময় সিলিন্ডারবাহি গাড়ির সাথে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন মোটরসাইকেলের মালিক নিহত আশিক এলাহি শাকিলের দোকানের কর্মচারী খোকনের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে।পরে খোকনের চিৎকারে নিহত আশিক ইলাহী শাকিল ও তার দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন ও মোঃ শামস এগিয়ে এলে প্রায় ৪০-৫০ জন আজ্ঞাত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এরপর এলাকার বখাটে যুবক সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মোহাম্মদ রাহিম হোসেনসহ তার সহযোগীরা বিক্ষিপ্তভাবে খোকনকে আঘাত করতে থাকে। খোকনকে রক্ষা করতে গেলে আসামী সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মোহাম্মদ রাহিম হোসেন পাশে থাকা কসাইয়ের দোকান হতে চাপাতি, ছুরি ও রড় নিয়ে আশিক এলাহী সাকিলের ঘাড়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে তার অপর দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন ও মোঃ শামসকে কুপিয়ে জখম করে ।তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
র্যাব-৩ এর মিডিয়া অফিসার আরও জানান গুরুতর আহত আশিক পারভেজ সুজন (৩৮) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ ওমর ফারুক মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আসামীরা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানান র্যাব-৩ এর মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম।
এসএএ//