চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জেটিতে ডুবে যায় চীনা একটি পারমাণবিক সাবমেরিন। তবে দেশটি এই তথ্য প্রকাশ করেনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় পারমাণবিক সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার ছবিও প্রকাশ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডুবে যাওয়া পারমাণবিক সাবমেরিনটি নতুন প্রযুক্তিতে বানানো ছিল। এই ঘটনা চীনের জন্য বেশ বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তবে তিনি নিজের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
রয়টার্স বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেভি হচ্ছে চীনের। তাদের নৌ-শক্তিতে রয়েছে ৩২০টির বেশি জাহাজ। এ ছাড়া একের পর এক নতুন প্রযুক্তির পারমাণবিক সাবমেরিন বানিয়েই যাচ্ছে তারা। আমেরিকাকে টেক্কা দিতে আরও সমৃদ্ধ করছে নিজেদের নৌবাহিনীর অস্ত্রাগার। এমন সময় এ ঘটনা তাদের জন্য বিব্রতকরই বটে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জেটিতে রাখা অবস্থায় গত মে কিংবা জুনে চীনের ফার্স্ট-ইন-ক্লাস পারমাণবিক সাবমেরিন ডুবে যায়। কিন্তু ঠিক কি কারণে এটি ডুবে গেল, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাঁর জানামতে ওই সময় সাবমেরিনটিতে জ্বালানি ছিল। তবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই বলে এক মন্তব্যে জানিয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, চীনের উহান রাজ্যের উচ্যাং জেটিতে এই সাবমেরিন ডুবে যায়। এই শহর থেকেই প্রথম করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। এবার প্রকাশিত হলো উহানের নতুন স্যাটেলাইট ছবি। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, ডুবে গেছে ঝৌ-ক্লাশ নৌযান।তবে ওই সময় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি।
এই প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশ্যে আনা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, তাতে জ্বালানি না থাকার শঙ্কাও করেছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। পরে তা উদ্ধার করা হলেও সমুদ্রে ফেরাতে বেশ সময় লাগে।ডুবে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে প্লানেট ল্যাবস। এ ব্যাপারে আজ শুক্রবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েলিংটন কু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গোয়েন্দা ও নজরদাড়ি সূত্রের মাধ্যমে এই তথ্য জেনেছে তারা। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এসসি//